আদর্শ সংগঠনের রূপরেখা: হাবীবুল্লাহ সিরাজ

আদর্শ সংগঠন এর পরিচয় জানতে আমাদের আগে জানতে হবে সংগঠন কাকে বলে, সংগঠনের বিভিন্ন সংজ্ঞা আছে। যেমন- কোন লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে একত্রিত হওয়ার নাম সংগঠন। আরেকটু সুন্দর করে এভাবে বলা যায়- সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট কর্মনীতির ভিত্তিতে বিশেষ পদ্ধতিতে একত্রিত বা সংঘবদ্ধ হওয়ার সামষ্টিক কাঠামোকে সংগঠন বলে।

এখন বুঝতে হবে আমাদের আদর্শ কী? আমাদের আদর্শ হলো ইসলাম। আমরা যে সংগঠন করবো তা ইসলামী সংগঠন হবে নিশ্চয়। ইসলামের বাহিরে গিয়ে কোন সংগঠন হতে পারেনা, হলেও তাতে মহান আদর্শ বিবর্জিত হবে।
সংগঠন যদি ইসলামী ধাঁচে গড়তে হয়, তাহলে তিনটি বিষয় থাকা অতীব জরুরি। যথা,
১. ইসলাম কর্তৃক নির্ধারিত লক্ষ্য সংগঠনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হতে হবে।
২. সংগঠন গড়ে তোলার পদ্ধতি ইসলাম সম্মত হতে হবে।
৩. সংগঠনের লক্ষ্য অর্জন ও কর্মপন্থা ইসলামী হতে হবে।

সংগঠনের উপাদান
একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, মজবুত, স্থায়ী ও আদর্শ সংগঠনে যে সব বিষয় থাকা অনিবার্য যেগুলোকে আমরা সংগঠনের উপাদান বলতে পারি। আরো সহজ করে বললে একটি মজবুত আদর্শ সংগঠন গঠন করতে কিছু বিষয়ের উপস্থিতি লাগে, এটাকেই সংগঠনের উপাদান বলে। উপাদানগুলো হলো এই –
 আদর্শ ও লক্ষ্য উদ্দেশ্য
 নীতি ও পলিসি
 কর্মসূচি
 নেতৃত্ব
 জনশক্তি ও কর্মীবাহিনী

* আদর্শ সংগঠনের মূলভিত্তি
 আনুগত্য
 পরামর্শ ব্যবস্থা
 জবাবহিদিতা
 মুহাসাবাতুন নাফস (আত্মবিচার)

আনুগত্য

আনুগত্যই সংগঠন। সংগঠনই আনুগত্য। মুসলমান অর্থের মাঝেই লুকিয়ে আছে আনুগত্যের পরিচয়। আনুগত্য ব্যতিরেকে কোন মানুষ মুসলমানিত্ব গ্রহণ করতে পারেনা। আনুগত্য মেনে নিয়েছে বিধায় সে মুসলমান। কুরআনে একাধিক স্থানে আনুগত্যের ঘোষণা এসেছে-

হে ঈমানদার, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সা. এবং তোমাদের মধ্য থেকে উলুল আমরের আনুগত্য করো। সুরা নিসা : ৫৯

আনুগত্যের দর্শন

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন; যে আমার আনুগত্য করলো সে আল্লাহর আনুগত্য করলো, যে আমার অবাধ্যতা করলো সে আল্লাহরই অবাধ্যতা করলো। আর যে আমিরের (দায়িত্বশীল) আনুগত্য করলো সে আমার আনুগত্য করলো। মুসলিম : ৬/১৩

উল্লিখিত হাদীস দ্বারা বুঝা যায়, আনুগত্য কতো বড়ো বিষয়। এখানে ঈমানের প্রশ্ন এসে যায়। রাসুলের আনুগত্য মানেই আল্লাহর আনুগত্য। এখানেই ইসলামের দর্শন। ইসলামের পূর্ণ বিষয়টাকে আনুগত্যের ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। আনুগত্য নেই তার ঈমান ও ইসলাম নেই। এই হাদীস দ্বারা প্রতীয়মান হলো আনুগত্যই ইলসাম। ইসলামই আনুগত্য। যদি সংগঠনটা ইসলামের কাজের জন্য নির্মাণ হয়ে থাকে; তাহলে ওই সংগঠনে আনুগত্য বিষয়টাকে কতো ভালোভাবে নিতে হবে! যদি সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়েও আনুগত্যের দুর্বলতা থাকে, তাহলে এই সংগঠন আদর্শ সংগঠন নয়। এই সংগঠন দ্বারা নাম যশ খ্যাতি আর শুহরাত আসলেও কাজের কাজ কিছুই হবে না।

আনুগত্যের দাবি
আনুগত্যের দাবি হলো- আমি যার আনুগত্যে মাথা নত করলাম; জীবনের সর্বকাজে তার আনুগত্যকেই আমার মেনে নিতে হবে। আমার পছন্দ হলো না আনুগত্য করলাম না, পছন্দ হলো আনুগত্য করলাম। এখানে একটি হাদীস প্রণিধানযোগ্য-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন “মুসলমান মানেই আনুগত্য প্রদর্শন করা। চাই তা তার পছন্দ হোক বা না হোক। তবে যদি বিষয়টি নাফরমানির হয়, তবে সেক্ষেত্রে কারো আনুগত্য চলবেনা।” মুসলিম : ৬/১৫
তাহলে এটা আনুগত্য হবেনা, হবে খামখেয়ালি বা সুবিধাভোগী। এ বিষয়ে কুরআনের একটি আয়াত শোনা যেতে পারে-

“হে নবী! আপনি বলে দিন, তোমরা আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য প্রদর্শন করো, যদি তার আনুগত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও (তবে জেনে রাখো) নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদের ভালোবাসেন না।” সুরা আল ইমরান : ৩২
এখানে আনুগত্যের আলোচনার পরে বলা হচ্ছে নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদেরকে পছন্দ করেন না। এখন প্রশ্ন হলো- আনুগত্যের আলোচনার পরে আল্লাহ কাফেরদের অপছন্দের বিষয়টি কেন আনলেন? এর উত্তর হলো- আল্লাহ কাফেরদেরকে যে সব কারণে অপছন্দ করেন তন্মধ্যে একটি হলো তারা আল্লাহর ও তার রাসুলের আনুগত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দ্বিতীয়ত এর উত্তর হলো- আনুগত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া কাফের বা বেঈমান সম্প্রদায়ের কাজ ও অভ্যাস।
আনুগত্যের দাবির মর্মকথা আরো স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে নিম্নের আয়াতে-
“না, (হে নবী!) তোমার প্রতিপালকের শপথ! তারা ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না নিজেদের পারস্পরিক ঝগড়া-বিবাদের ক্ষেত্রে তোমাকে বিচারক মানবে, তারপর তুমি যে রায় দাও, সে ব্যাপারে নিজেদের অন্তরে কোনরূপ কুণ্ঠাবোধ না করে এবং অবনত মস্তকে তা গ্রহণ করে নেবে।” সুরা নিসা : ৬৫
উল্লিখিত আয়াতের মূল বক্তব্য হলো- নবীর ফায়সালা ও রায়ের ব্যাপারে কারো অন্তরে নূন্যতম সন্দেহ সংশয় থাকলে সে ঈমানদার হতে পারবে না বলে স্বয়ং আল্লাহর ঘোষণা। এখন ওই হাদীসের কথাটি আবার স্মরণ করি যে- দায়িত্বশীলের আনুগত্য করাই আমার আনুগত্য করা। এখন দায়িত্বশীলের আদেশের ব্যাপারে কোন কর্মীর সন্দেহ সংশয় থাকলে সেই সংগঠনের ভিত্তিটা কি ইসলামের উপর রইলো? দায়িত্বশীলের সব রায়ের বিষয়েই যদি কর্মীর সন্দেহ থাকে ওই কর্মীর দ্বারা সংগঠন আগাবে না, বরং তার দ্বারা সংগঠনের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হবে।

পরামর্শ ব্যবস্থা

সংগঠনের পরামর্শ ব্যবস্থা একটি অতীব জরুরি বিষয়। পরামর্শ ব্যবস্থা ছাড়া সংগঠন চলতে পারেনা। যদি চলে বুঝতে হবে এটা সংগঠন নয়, ব্যক্তি মালিকানা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান। এর একজন চেয়ারম্যান আর কিছু কাজের লোক আছে- চেয়ারম্যানের যা হুকুম বা মর্জি তাই কাজের লোকেরা করে।
পরামর্শের গুরুত্ব-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ইলম বুদ্ধি কৌশল দক্ষতা অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতায় সকল মানুষের ঊর্ধ্বে। তিনি একা সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার রাখেন, এবং তাতে কেউ কোন সময় দ্বীমতও করবে না। তারপরও শুনি তাঁর ব্যাপারে আল্লাহর ফায়সালা কি?
(হে নবী! এসব ঘটনার পর) আল্লাহর রহমতই ছিল, যদ্দরুন তাদের প্রতি তুমি কোমল আচরণ করেছো। তুমি যদি রূঢ় প্রকৃতির ও কঠোর হৃদয় হতে, তবে তারা তোমার আশপাশ থেকে সরে বিক্ষিপ্ত হয়ে যেতো। সুতরাং তাদেরকে ক্ষমা করো, তাদের জন্য মাগফিরাতের দুআ করো এবং (গুরুত্বপূর্ণ) বিষয়ে তাদের সাথে পরমর্শ করতে থাকো। তারপর তুমি যখন (কোন বিষয়ে) মনস্থির করবে, তখন আল্লাহর উপর নির্ভর করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওয়াক্কুলকারীদেরকে ভালোবাসেন। সুরা আল ইমরান : ১৫৯
উল্লিখিত আয়াতে অন্যান্য বিষয়ের সাথে পরামর্শের আদেশ দেওয়া হয়েছে। কাকে দেওয়া হয়েছে? নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে।
তাঁকে কেন পরামর্শের আদেশ দেওয়া হবে? তার জ্ঞানের কোন কমতি, বুদ্ধির স্থুলতা বা বুঝের অভাব ছিল? না এসব কিছুই ছিলনা। তারপরও তাঁকে পরামর্শের আদেশ দেওয়া হয়েছে পরামর্শের গুরুত্বের কারণেই।

পরামর্শের গুরুত্ব সম্পর্কে একটি হাদীস –

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন; যখন তোমাদের নেতারা ভালো লোক হবে, ধনীরা দানশীল হবে, তোমাদের পরস্পরের কাজগুলো পরামর্শের ভিত্তিতে হবে তখন জমিনের উপরিভাগ তোমারদের জন্য নীচের ভাগের চেয়ে উত্তম হবে। আর যদি তোমাদের নেতারা খারাপ হয়, ধনীরা কৃপণ হয় এবং নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব যায় নারীদের হাতে; তখন পৃথিবীর উপরিভাগের চেয়ে তোমাদের জন্য নীচের ভাগ উত্তম হবে। তিরমিযী : ৫/৫২৯
এই হলো পরামর্শের গুরুত্ব।

পরামর্শ করার ফায়দা

* স্বার্থপরতার সুযোগ থাকে না
* একঘেয়েমি করার সুযোগ থাকে না
* স্বেচ্ছাচারিতা সৃষ্টি হয় না
* অন্তর্দ্বন্দ্বে ভুগতে হয় না
* মতপার্থক্য থাকেনা
* সকলের মেধার প্রয়োগ হয়
* সকল সদস্যের মূল্যায়ন হয়
* সমালোচনার মুখে পড়তে হয় না
* গ্রুপিংয়ের সুযোগ থাকে না
* প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ থাকে না
* ব্যর্থ কাজের জন্য লাঞ্ছনায় পড়তে হয়না
* ছিদ্রান্বেষণ বন্ধ হয়ে যায়
* জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়
* অযথা কাজ করার পথ বন্ধ হয়ে যায়

জবাবদিহিতা

জবাবদিহিতার গুরুত্ব মুসলমানকে ওয়াজ করে বুঝাতে হবেনা। প্রত্যেক মুসলমান বলতেই সে জানে কাল কিয়ামতের দিন তাকে জবাবের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। জবাব ছাড়া ওই দিন কোন মানুষ পাড় পাবেনা। জবাবদিহিতার একটি হাদীস পড়ি-
হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন : “কিয়ামতের দিন বনি আদমকে তার রবের কাছ থেকে দুই পা-কে একবিন্দু পর্যন্ত সরাতে দেওয়া হবে না, যতক্ষণ না তাকে পাঁচটি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। তার বয়স সম্পর্কে, সে কোথায় তা ধ্বংস করেছে; তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কোথায় সে তাকে পুরাতন করেছে; তার সম্পদ সম্পর্কে, সে কোন জায়গা থেকে তা উপার্জন করেছে আর কোন জায়গায় তা খরচ করেছে এবং তাকে যে বিদ্যা-বুদ্ধি দান করা হয়েছিল সে অনুযায়ী সে কি আমল করেছে।” সুনানে দারেমি : ২/৯৪

জবাবদিহিতা সুযোগের দ্বার অবারিত করে। ‘আমাকে জবাবদিহি করতে হবে’- এই অনুভূতি মানুষকে অসংখ্য ভুল পথ থেকে রক্ষা করে। সেই প্রেক্ষাপটে সে অসংখ্য অপরাধ প্রবণতা থেকে বেঁচে থাকার দুর্লভ সুযোগ লাভে ধন্য হয়। পক্ষান্তরে, যার জবাবদিহিতা নেই, তার ভুলভ্রান্তি দোষ-ত্রুটি উন্মোচনের সুযোগ নেই; সে জন্য এগুলো থেকে মুক্তিলাভের সুযোগ নেই। যার জবাবদিহিতার অনুভূতি নেই, দোষ-ত্রুটি ও অপরাধ প্রবণতায় আকণ্ঠ নিমজ্জিত হওয়াটা তার জন্য একেবারেই স্বাভাবিক। সে জন্য ভুলত্রুটি ও পাপ-পঙ্কিলতামুক্ত একজন মানুষ তৈরিতে জবাবদিহিতার বলিষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। সংগঠনের প্রতিটি সদস্যই সংগঠনের অঙ্গ। মানুষের মাঝে স্বার্থপরতা আর স্বেচ্ছাচারিতা থাকতেই পারে একারণেই জবাবদিহিতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্বদানের মাধ্যমে সংগঠনকে করতে হবে ভুলভ্রান্তি ও দোষত্রুটিমুক্ত। আর যদি জবাবদিহিতার চর্চা সংগঠনে না থাকে সেই সংগঠনে ভুলভ্রান্তি ও দোষত্রুটিমুক্ত হবে না। সংগঠন কোন একাডেমিক পাঠশালা নয় বা পীর বুযুর্গের দরবারও নয়। এখানে দায়িত্বশীলের সব কাজের জবাব কর্মীর কাছে জানা থাকতে হবে। যদি দায়িত্বশীল নিজেকে উস্তায অথবা খানকার পীর ভাবে আর কর্মীও নিজেকে ছাত্র বা মুরিদ ভাবে! সেখানে সংগঠন চলতে পারেনা। বাস্তবে যদি এমন হয় সেই সংগঠন হলো স্বেচ্ছাচারিতা, স্বার্থপরতা ও ব্যক্তিগত লাভ-লোকসানের। এখানে এহতেসাবের মাধ্যমে কন্ট্রাকের মাধ্যমে নেতা কর্মীর দূরত্ব গোঁজাবে, দায়িত্বশীল ও অধীনস্তদের সংশয় দূর করবে। যদি এগুলোর জোর না থাকে আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে এই সংগঠনের সকল কাজ বিকল হবে, এর নেতার মাঝে স্বেচ্ছাচারিতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। নেতা নিজেকে পীর সাব মনে করে লাগামহীনভাবে সংগঠনের স্বার্থহানির আর নিজ স্বার্থসিদ্ধির কাজ করে যাবে কর্মীর সামনে ও কর্মীদের দিয়ে। কর্মীও নিজেকে আদর্শ মুরিদ ভেবে নিজের সর্বটুকু দিয়ে পীরের কাজ করে যাবে; যদিও তার মনে খটকা লাগে। এসব পীর আর মুরিদ দ্বারা সংগঠন হবেনা।

মুহাসাবাতুন নফস

মুহাসাবাতুন নফস বিষয়টা জবাবদিহিতার কাছাকাছি বিষয়। মুহাসাবাতুন নফস বলতে নিজে নিজের কাজের হিসাব নেওয়া। এটা একজন মুমিনের প্রাত্যেহিক একটি কাজ। মুমিন প্রতিদিনই তার দৈনন্দিন কাজের একটি হিসাব নিবে। আজ সে কয়টা অপরাধ করেছে কয়টা ভালো কাজ করেছে। কোন কাজটা নাফরমানি হয়েছে আর কোনটা ইবাদতের মধ্যে পড়েছে। এভাবে যখন একজন মানুষ তার প্রতিটি কাজ নিয়ে নিজের নফসের সাথে মুবাহাসা করবে, তখন ওই মানুষের দ্বারা অন্যায় কাজ সংগঠিত হতে পারেনা। হযরত ওমর রা. বলেছেন- “আল্লাহর কর্তৃক হিসাব নেয়ার আগে নিজের হিসাব নিজে খতিয়ে দেখ।” এটা দ্বারা যেমন একজন লোক আখেরাতের জবাবদিহিতা সহজ করে তুলতে পারে, সংগঠনের কর্মীও নিজের সংগঠনকে সামনে রেখে নিজের জীবন ও সংগঠনকে সুন্দর ও আরো গতিশীল করতে পারে।

শেয়ার করুন

আরো পড়ুন

যোগদিন আমাদের সাথে

ইসলামের মূল তিন কাজ- তা’লীমে দ্বীন (দ্বীনের শিক্ষা), তাবলীগে দ্বীন (দ্বীনের দাওয়াত) ও তাগলীবে দ্বীন (দ্বীনের বিজয়) এর সমন্বয়ে ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য পাঁচ দফা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১. দাওয়াত, ২. সংগঠন, ৩. প্রশিক্ষণ, ৪. সমাজকল্যাণ, ৫. আন্দোলন। আমি বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস ঘোষিত কর্মসূচির সাথে একাত্মতা পোষণ করছি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে এ সংগঠনে যোগদান করছি।

Scroll to Top