পরিচিতি

সৃষ্টিজগতের সর্বশ্রেষ্ঠ মাখলুক হচ্ছে মানুষ। পবিত্র কুরআনের ভাষায় মানুষের প্রথম ও প্রধান পরিচয় হলো “মানুষ আল্লাহর খলীফা বা প্রতিনিধি’। এই পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মহান আল্লাহ তার সকল সৃষ্টি থেকে মানুষকে নির্বাচন করেছেন। দিয়েছেন প্রতিনিধিত্বের মর্যাদা ও সম্মান। প্রতিনিধির কাজ হলো মালিকের  মর্জি মোতাবেক সবকিছু পরিচালনা করা। তাই আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করা মানুষের দায়িত্ব। এর মাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব যেমন বহাল থাকবে, তেমনি আদায় হবে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য। সেই সাথে ঠিক থাকবে পৃথিবীর শান্তিময় স্বাভাবিক গতিপ্রকৃতি। কিন্তু আমরা কি আল্লাহর দেওয়া সেই প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব পালন করছি? যে মর্যাদা তিনি দিয়েছেন এর মান ধরে রাখতে পেরেছি? পৃথিবীর বঞ্চিত মানুষের অধিকারের কথা ভেবেছি? অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি?

এর উত্তর হলো ‘না’। আমরা পারি নি। আমরা অক্ষমতার দোহাই দিয়ে পার পেতে চেয়েছি! গড্ডালিকা স্রোতে গা ভাসিয়ে দায়মুক্তির পথ খুঁজেছি। অথচ প্রতিনিধিত্বের দাবি আদায়ে সক্ষমতা ও শক্তি অর্জনের কথা ভাবিনি। তাই আজ পৃথিবীর দিকে দিকে হাজারো জনপদে অশান্তির দাবানল জ্বলছে দাউদাউ করে। অন্যায়-অবিচার, জুলুম-শোষণ, নির্যাতন-নিপীড়ন, ধ্বংস-নিষ্পেষণ, হত্যা-ধর্ষণ আজকের পৃথিবীর নৈমিত্তিক ব্যাপার। রক্তের হোলিতে মেতে আছে একদল, আরেকদল রক্ত দিয়েই যাচ্ছে। শক্তির প্রতাপে একদল মত্ত, আরেকদল জীবনধারণের ন্যূনতম অধিকারটুকু পাচ্ছেনা। অর্থ-বিত্ত-ভৈববের মাতাল হাওয়ায় ভাসছে কেউ, কেউ আবার অর্থের অভাবে-অনাহারে চিকিৎসাহীন ধুকে মরছে। কেউ রাষ্ট্রের রোষাণলে, ধর্মের দোহায়ে, সীমানার বাড়াবাড়িতে জীবন দিচ্ছে। কেউ অধিকার আদায়ে সন্ত্রাসী তকমায় ফাঁসিতে ঝুলছে। 

মানবতার এ চরম দুর্দিনে বিশ্ববাসী আজ ভয়ানক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষমান এমন এক মযবুত সংঘবদ্ধ ঈমানী কাফেলার, যা হিম্মতের সাথে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে পৃথিবীর প্রান্তসীমায় খিলাফাহ আলা মিনহাজিন নাবুওয়াহর দাওয়াত পৌঁছে দেবে এবং বিপন্ন মানবতার সেবায় আত্মোৎসর্গী হবে। যে কাফেলার সদস্যরা একদিকে ইসলাম বিদ্বেষী শয়তানি অপশক্তিকে পরাজিত করার মত কৌশল ও দক্ষতা অর্জন করবে। সাথে সাথে প্রাত্যহিক জীবনে সুন্নাতে রাসুল ও আযীমাতে উসূলের পাবন্দির মাধ্যমে নিজেকে রুহানি শক্তিতে বলিয়ান করে তুলবে। ইসলামের স্বর্ণযুগে সাহাবায়ে কেরাম ও তাদের অনুসারীবৃন্দ এই দুই শক্তির মাধ্যমেই পৃথিবীজুড়ে খেলাফতের সোনালি শাসন কায়েম করতে সক্ষম হয়েছিলেন। 

এ কাজের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো যৌবনকাল। তরুণ যুব ও ছাত্রশক্তি পৃথিবীর সকল অসম্ভব ও অসাধ্যকে সাধন করতে পারে। এর উদাহরণও আমাদের ইতিহাসে দেদিপ্যমান। এই ছাত্রশ্রেণির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল পৃথিবীর মঞ্চে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের শক্তিকে পুঁজি করে গড়ে তুলছে মিথ্যা অহমিকার কালো প্রাসাদ। দলিত মথিত করছে লাখো কোটি মানুষের মানবিক অধিকার।

তাই বর্তমান অশান্ত পৃথিবীকে শান্ত করতে,সকল মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে; সর্বপ্রথম এগিয়ে আসতে হবে যুবক, তরুণ-ছাত্রজনতাকে। ছাত্রজনতার অদম্য সাহস-নির্ভিকতা, বিপ্লবী মন-মানসিকতা, উদ্ভাবনমুখর মেধা-যোগ্যতা, তেজোদ্দীপ্ত চিন্তা-চেতনার সুন্দর সুষ্ঠু ব্যবহারই পারে একটি আদর্শ সুখের সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে। সমাজের সেই প্রতিনিধিত্বশীল, অধিকারসচেতন তরুণ, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী, খেলাফত প্রতিষ্ঠায় উন্মুখ, দেশপ্রেমী, ইসলামপ্রিয় ছাত্রজনতার উন্মুক্ত প্লাটফর্ম বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস। একজন ছাত্র যতই শিক্ষিত হোক না কেন, তার ভিতরে যদি সঠিক আদর্শ চর্চার সাথে সাথে আত্মার পরিশুদ্ধতা না থাকে; তাহলে সেই ছাত্র সমাজ ও রাষ্ট্রের কোন কাজে আসবে না। বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের ভিন্নতা এখানেই। এই সংগঠন চায় দেশের প্রতিশ্রæতিশীল প্রতিভাবান ছাত্রসমাজের মাঝে সঠিক আদর্শের ভিত্তি রচনা করে পড়ালেখার পাশাপাশি আত্ম পরিশুদ্ধতার প্রশিক্ষণ ব্যাপক করতে। চলমান ইসলামী আন্দোলন-সংগ্রামে বিরাজিত আদর্শ নেতৃত্বের শূণ্যতা পূরণ করে প্রশিক্ষিত যোগ্যতাসম্পন্ন ও আধ্যাত্মিক শক্তিসমৃদ্ধ নেতৃত্ব গড়তে।

আহবান

বিপ্লবপ্রিয় ছাত্রবন্ধুরা!

আসুন, অলসতা আর শিথিলতা ঝেড়ে ফেলে, লোভ লালসা উপড়ে তুলে, আল্লাহর দেওয়া সাহস হিম্মত বুকে নিয়ে একটি আদর্শসমাজ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হই। ইসলাম ও দেশবিরোধী সকল শক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হৃদয়ে একটি আদর্শ খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বপ্ন বুনি।

আল্লাহর দেওয়া শৌর্যবীর্য ও শক্তিমত্তা আল্লাহর রাস্তায় বিলিয়ে মানুষ ও মাবনবতার মুক্তির শ্লোগান তুলি। আছেন কি কেউ এই  আহবানে সাড়া দেবার?

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

এই সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো এ‘লায়ে কালিমাতুল্লাহ্ তথা আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করা।

লক্ষ্য অর্জনের ক্রমধারা

বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস তার অভিষ্ঠ লক্ষ্যপানে পৌছার সুবিধার্থে তার পদক্ষেপকে চার ধাপে বিণ্যস্ত করেছে।   

১.  ইসলামের জন্য নিবেদিতপ্রাণ যোগ্য ব্যক্তি গঠন।

২. আদর্শ ইসলামী সমাজের পরিবেশ গড়া।

৩. বাতিল প্রতিরোধ ও ইসলামের গৌরব রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন।

৪. রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বক্ষেত্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বাত্মক সংগ্রাম করা।

পাচঁ দফা কর্মসূচী 

এই চারটি ধাপ অতিক্রম করার জন্য বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস প্রণয়ন করেছে সুচিন্তিত পাঁচ দফা কর্মসূচী –

দাওয়াত: ছাত্র সমাজের কাছে ইসলামের দাওয়াত ও ইসলামকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে সংঘবদ্ধ হওয়ার আহŸান জানানো।

সংগঠন: সংগঠনের দাওয়াত গ্রহনকারী ছাত্রদেরকে সংগঠিত করা।

প্রশিক্ষণ: সংগঠিত ছাত্রদেরকে ইসলামী  আন্দোলনের প্রশিক্ষিত জনশক্তিরুপে গড়ে তোলা।

সমাজকল্যাণ: সমাজের সর্বশ্রেণীর মানুষের প্রতি দায়িত্ব পালন ও ইসলামী আন্দোলনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য জনকল্যাণমূলক কাজ করা।

আন্দোলন: অন্যায়ের প্রতিবাদ ও ইসলামের গৌরব রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন এবং খেলাফত কায়েমের লক্ষ্যে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তোলা। 

সাংগঠনিক কাঠামো

অভিভাবক পরিষদ, কেন্দ্র,মহানগর শাখা, জেলা শাখা, থানা শাখা ইউনিয়ন/ওয়ার্ড শাখা ও প্রাথমিক শাখার সমন্বয়ে সাংগঠনিক কাঠামো গঠিত।

সাংগঠনিক স্তর

বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস মনে করে তার অভিষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনের সহজার্থে প্রয়োজন দক্ষ, প্রশিক্ষিত ও সীসাঢালা প্রাচিরের ন্যায় মযবুত সংঘবদ্ধ একটি কাফেলা তৈরি করা। এ জন্য সংগঠন তার সকল কার্যক্রমের মাঝে অধ্যয়ণ ও প্রশিক্ষণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। প্রশিক্ষণের সুবিধার্থে তার জনশক্তিদেরকে চারটি সাংগঠনিক স্তরে বিন্যস্ত করেছে। যথা-

১. সদস্য   ২. কর্মী   ৩. সহযোগী সংগঠক  ৪. সংগঠক

সদস্য: যেকোন ছাত্র সংগঠন সম্পর্কে সাধারণ ধারণা অর্জন ও লক্ষ্য উদ্দেশ্যের সাথে একমত পোষণ করতঃ ফরম পূরণ করলে তিনি সংগঠনের সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন।

সদস্যের কাজ:

 ইবাদাত: 

১. পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাতে আদায় করা।

২. নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করা।

পড়ালেখা:

১. প্রাতিষ্ঠানিক ও ক্লাসের পড়া লেখার ব্যাপারে যতœবান হওয়া।

২. ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন করা।

৩. সদস্য সিলেবাস সম্পন্ন করা।

সাংগঠনিক: 

১. নিয়মিত ব্যক্তিগত রিপোর্ট সংরক্ষণ ও দায়িত্বশীলকে দেখানো।

২. বায়তুল মালে নিয়মিত এয়ানত দেয়া।

৩. সংগঠনের কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করা।

কর্মী

যে সদস্য উপরোক্ত কার্যাবলী সম্পাদন করবেন, তিনি এই সংগঠনের  কর্মী হওয়ার যোগ্য হবেন এবং সংগঠন ঘোষণা করলে তিনি কর্মী হিসেবে গণ্য হবেন।

কর্মীর কাজ:

 ইবাদাত: 

১. পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাতে আদায় ও ইসলামের অন্যান্য দাবি মেনে চলার চেষ্টা করা।

২. নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করা।

৩. কর্মী অযিফা আদায় করা।

পড়ালেখা:

১. কুরআন, হাদীস ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন করা।

২. প্রাতিষ্ঠানিক ও ক্লাসের পড়া লেখার ব্যাপারে যতœবান হওয়া।

৩. কর্মী সিলেবাস সম্পন্ন করা।

সাংগঠনিক: 

১. সামর্থানুযায়ী দাওয়াতী কাজ করা।

২. বায়তুল মালে নিয়মিত এয়ানত দেয়া ও সংগ্রহ করা।

৩. সংগঠনের সকল কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করা।

৪. দায়িত্বশীলের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা।

৮. নিয়মিত ব্যক্তিগত আমল সংরক্ষণ ও দায়িত্বশীলকে দেখানো।

১০. সংগঠনের অর্পিত দায়িত্ব পালনে স্বচেষ্ট হওয়া।

সহযোগী সংগঠক

যে কর্মী সংগঠনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, লক্ষ্য অর্জনের  ক্রমধারা  ও কর্মসূচির সাথে সচেতনভাবে ঐকমত্য পোষণ করবেন এবং ইসলামের ফরয ও ওয়াজিব বিধান সমূহ পালন করার পাশাপাশি সুন্নাতী জীবনে অভ্যস্ত হবেন, সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করবেন, কর্মী সিলেবাস সম্পন্ন করবেন তিনি এই সংগঠনের সহযোগী সংগঠক হওয়ার যোগ্য হবেন এবং সংগঠন ঘোষণা করলে তিনি সহযোগী সংগঠক হিসেবে গণ্য হবেন।

সহযোগী সংগঠকদের কাজ 

ইবাদত

১.পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় ও ইসলামের ফরজ বিধানসমূহ পালন করা। 

২.কুরআন তিলাওয়াত করা।

৩.সহযোগী সংগঠক অযিফা আদায় করা।

পড়ালেখা

১.কুরআন-হাদীস ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন করা। 

২.প্রাতিষ্ঠানিক ও ক্লাসের পড়ালেখার ব্যাপারে যতœবান হওয়া।

৩.সহযোগী সংগঠক সিলেবাস সম্পন্ন করা।

সাংগঠনিক

১.সক্রিয়ভাবে দাওয়াতী কাজ করা।

২.বায়তুল মালে নিয়মিত এয়ানত প্রদান করা।

৩.সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রমে নিয়মিত অংশগ্রহণ করা।

৪.দায়িত্বশীল ও কর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা। 

৫.নিয়মিত ব্যক্তিগত নেযামুল আমাল সংরক্ষণ করা।

৬.সংগঠকের অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হওয়া।

সংগঠক

যে সহযোগী সংগঠক তাগলীবে দ্বীনের মহান সংগ্রামকে নিজ জীবনের মিশন হিসেবে গ্রহন করবেন ও সংগঠনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে যেকোন ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা লালন করবেন এবং দ্বীনের প্রয়োজনে খোদার রাহে শাহাদতের তামান্নায় উজ্জীবিত হয়ে জান-মাল ও সময় কুরবানী করতে প্রস্তুত থাকবেন। এই সংগঠনের সংবিধানকে পরিপূর্ণভাবে মেনে চলবেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়া পরিপালন ও সকল প্রকার গুনা‏হ্মুক্ত জীবনযাপনে সচেষ্ট হবেন এবং সহযোগী সংগঠক সিলেবাস পূর্ণ করবেন, তিনি সংগঠক হওয়ার যোগ্য হবেন এবং সংগঠন ঘোষণা করলে তিনি সংগঠক হিসেবে গণ্য হবেন।

প্রিয় দ্বীনী ভাইয়েরা!

তাগলীবে দ্বীনের কাজ হল ঝুঁকিপ‚র্ণ। যুগে যুগে আল্লাহর সৈনিকদের জান-মাল কুরবানীর মাধ্যমেই অর্জিত হয়েছিল দ্বীন বিজয়ের সুমহান গৌরব। আজ সে গৌরবের দিনগুলো ইসলামের অতীত ইতিহাস। আবার ফিরিয়ে আনতে হবে সেই সোনালী দিন। তাই আসুন, আল্লাহর দেয়া জীবন- যৌবন, শ্রম, শক্তি ও মেধা তাঁরই নির্দেশিত পথে পরিচালিত করে রূহানী শক্তিতে বলিয়ান হয়ে অন্যায়-অসত্যের বিরুদ্ধে একটি মজবুত শক্তিশালী প্লাটফর্ম তৈরী করি। আল্লাহ আমাদের সকলকে কবুল করুন। আমীন।

Scroll to Top