কর্মশালায় সময় দেয়া অনেক আনন্দের ছিল -মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক দা.বা.

মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক হাফিযাহুল্লাহ। নতুন করে তাঁর পরিচয় উপস্থাপন করার মতো শব্দ বাক্য ও কৌশল আমাদের অভিধানে অপ্রতুল। তাঁর শানসই শব্দ দ্বারা পরিচয় তুলে ধরতে পারবো না; তাই পরিচয় পর্বটা আজ না। তবে এতোটুকু বলি, এই সময়ের তরুণ জাগানিয়া এক সাহসের নাম মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক দা.বা.। খেলাফত প্রতিষ্ঠার চিন্তায় মুখিয়ে থাকেন অহর্নিশ। চিৎকার করে বেড়ান আটষট্টি হাজার গ্রাম বাংলার পথে প্রান্তে। সাহসের বুলি আওড়ান হাদিসের দরস থেকে মিডিয়া পর্যন্ত। স্বপ্নের কথা বলেন তারুণ্যের ক্যাম্পাসে। আশার ও পদ্ধতির কথা বলেন মুরুব্বিদের সামনে। শুভবুদ্ধির কথা বলেন ক্ষমতাবানদের কর্ণকুহুরে। যুক্তির কথা বলেন অপযুক্তির পিঠে। মেধা যোগ্যতা ও চিন্তা দিয়ে স্থান করে নিয়েছেন ঈর্ষণীয় এক আসনে।

চকলেট খাবার বয়স থেকেই রাজনীতির সাথে পরিচয়। নাবালক বয়সেই বাবার হাদিস ও রাজনীতির সহচর। আপাদমস্তক সাংগঠনিক মেজাজ তার। ছাত্রজমানায় ছাত্রসংগঠন ও ছাত্ররাজনীতিতে ছিল তার সরব উপস্থিতি। দায়িত্ব পালন করেছেন ‘ইসলামী ছাত্র মজলিস’ এর। ঘেঁটে দেখেছেন ছাত্ররাজনীতির আদ্যপান্ত। তাঁর সেই অজানা ছাত্ররাজনীতির পরতে পরতে রয়েছে নতুন প্রজন্মের ‘ছাত্ররাজনীতি ও ছাত্রসংগঠন’ কর্মীদের জন্য বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার উপকরণ। আছে পড়ালেখা ও ছাত্ররাজনীতির যুগপৎ উপদেশ। সেইসব উপদেশ জানতে তার কার্যালয়ে এক শুভ্রসকালে আত তাগলীবের পক্ষ থেকে উপস্থিত হয়েছিলেন আল আবিদ শাকির- সম্পাদক।

জামিয়া রাহমানিয়ার দরসে হাদিসের মসনদে মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক হাফিযাহুল্লাহ

আত তাগলীব : সাংগঠনিক অনুপ্রেরণা তৈরি হয়েছিল কিভাবে?
মাওলানা মামুনুল হক : আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আল্লাহ তায়ালার দরবারে শুকরিয়া যে মহান রাব্বুল আলামিন উপমহাদেশের ইসলামী আন্দোলনের ময়দানের অনন্য, অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ. এর ঔরসে জন্মদান করেছেন। ছোটবেলাতেই খুব কাছ থেকে ইসলামী আন্দোলনের ময়দানমুখী নানান তৎপরতা দেখার সুযোগ হয়েছে। বিশেষত; সাত আট বছর বয়স হওয়ার পরই দেখলাম, হাফেজ্জী হুজুর রহ. নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা, তওবার রাজনীতির প্রবর্তন করা। সেই গণজোয়ার কাছে থেকে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ হয়। সে সময়ের সে উৎসাহ-উদ্দীপনা, সম্ভাবনাই মূলত প্রাথমিক অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল।

আত তাগলীব : সাংগঠনিক জীবনের শুরুটা কখন?মাওলানা মামুনুল হক : হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর সেই তওবার রাজনীতির ডাকের পর ধীরে ধীরে যে ওলামায়েকেরাম ইসলামী আন্দোলনের ময়দানে সরব হতে থাকেন, তারই অংশ হিসেবে এক পর্যায়ে ছাত্রদের নিয়ে গঠিত হয় ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র তানযিম’। প্রাথমিকভাবে ১৯৮৮ বা ১৯৮৯ সালের দিকেই এ সংগঠনের সাথে আমি পরিচিত হই। তবে ১৯৯২ সালের শুরুর দিকে যখন বাবরি মসজিদ শহীদ করা হয়। সে সময় সারাদেশব্যাপী আন্দোলনের যে জোয়ার তৈরি হয় এবং তাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস’। ছাত্র  মজলিসের তৎপরতায় অনুপ্রাণিত হয়ে প্রাথমিক সদস্য ফরম পূরণের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সাংগঠনিক জীবনে প্রবেশ করি।

আত তাগলীব : সাংগঠনিক জীবনে প্রাথমিক তৎপরতা কী ছিল? কোথায় করেছিলেন?

মাওলানা মামুনুল হক : আমার কাজের শুরুটা হয় মুহাম্মদপুর শাখা থেকে। শাখা বৈঠক ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতাম। এরপর ঢাকা মহানগরী কর্তৃক আয়াজিত আরো বৃহৎ পরিসরের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতাম। সিলেবাসভিত্তিক পড়াশোনাসহ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সমন্বয়ে সাংগঠনিক কাজ চলত। মুহাম্মদপুর কেন্দ্রিক আমরা মজবুত একটা শাখা গড়ে তুলতে পেরেছিলাম।

আত তাগলীব : সাংগঠনিক সিলেবাসভিত্তিক পড়াশোনা করার বিষয়টা যদি আরেকটু বিস্তারিত বলতেন।মাওলানা মামুনুল হক : মূলত ছাত্র মজলিস তার জনশক্তিকে চারটি স্তরে বিন্যস্ত করেছিল। প্রাথমিক সদস্য, কর্মী, সহযোগী সদস্য, সদস্য। প্রত্যেক স্তরের জন্য নির্ধারিত সিলেবাস ছিল। সে সিলেবাসের উপর পরীক্ষা হতো। সকলেই খুব যত্নসহকারে সে সিলেবাস সম্পন্ন করতো।

কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা

আত তাগলীব : সিলেবাস সম্পন্ন করার পর এক স্তর থেকে অন্য স্তরে উন্নীত হওয়ার অনুভূতি কেমন ছিল?মাওলানা মামুনুল হক : সাংগঠনিক জীবনে মানোন্নয়ন একটি অন্যতম সফলতা হিসেবে বিবেচিত হতো। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করলে যেমন অনুভূতি হয়; সাংগঠনিক এক স্তর থেকে অন্য স্তরে উন্নীত হওয়াতেও তেমন পুলক সৃষ্টি হতো।

আত তাগলীব : ছাত্রসংগঠন করেও প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখায় ঈর্ষণীয় ফলাফল করেছেন। অনেকটা স্রোতের বিপরীতে। সমন্বয় কিভাবে করেছিলেন?মাওলানা মামুনুল হক : আসলে ছাত্রসংগঠনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো জনশক্তির সাংগঠনিক তৎপরতার পাশাপাশি পড়ালেখার উন্নতির যাবতীয় দিক লক্ষ্য রাখা। একজন দুর্বল পর্যায়ের ছাত্রকে তার স্তর থেকে আরেকটু অগ্রসর করে নিয়ে আসা। ভালো ছাত্রকে তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে আরো শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া। আমরা তৎকালীন সময়ে দায়িত্বশীলদের থেকে এ ধরণের সুযোগ-সুবিধা পেয়েছি। আমার সুস্পষ্ট মনে পড়ে, যখন আমি ফযিলত মারহালায় কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় অংশ নিই, তখন দরসি কিতাবের বাহিরে অর্থনীতি বিষয়ে একটা পরীক্ষা হতো। তার জন্য সিলেবাসভিত্তিক কোন বই ছিল না। অর্থনীতি বিষয়ের প্রশ্নগুলো ছাত্ররা বিভিন্নভাবে শিখে নিতো। আমি প্রশ্নগুলো নিয়ে ছাত্র মজলিসের অর্থনীতি বিষয়ক দায়িত্বশীলের কাছে গেলে তিনি তার যথাযথ উত্তরপত্র প্রস্তুত করে দেন এবং আল্লাহর রহমতে কেন্দ্রীয় সে পরীক্ষায় ওই বিষয়ে আমি ভালো করেছিলাম।

আত তাগলীব : নব্বইয়ের দশকের শুরুটাতো ছিল ইসলামী আন্দোলনের সোনালী এক যুগ। শায়খুল হাদীস রহ. এর নেতৃত্বে আপনার ছাত্র সংগঠন করা সময়ের উল্লেখযোগ্য আন্দোলনগুলোর কিছু স্মৃতি?

মাওলানা মামুনুল হক : ১৯৯২ সালের শুরুর দিকে লংমার্চ ঘোষণার পর থেকে কর্মসূচি পালনের আগ পর্যন্ত প্রায় এক মাস প্রতিদিন রাতে লংমার্চ সফল করার জন্যে দেয়াল লিখনের (চিকা মারা) জন্য বের হয়ে যেতাম। এছাড়াও দিনের বেলায় বিভিন্ন জায়গায় মিটিং মিছিল করতাম। এছাড়াও খতমে নুবওয়াত আন্দোলন, নাস্তিক-মুরতাদ বিরোধী আন্দোলনসহ আরো অনেক আন্দোলনেই আবেগ, উচ্ছ্বাস সহকারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ ছাত্রকালীন অবস্থাতেই হয়েছে।

রং তুলির ছোঁয়ায় ঢাকা রাঙিয়ে তুলছে খেলাফত ছাত্র মজলিসের কর্মীরা

আত তাগলীব : ছাত্র থাকাবস্থায় এসব বহির্মুখী কার্যক্রমে অংশগ্রহণের পাশাপাশি পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া! সমন্বয়টা হতো কিভাবে?

মাওলানা মামুনুল হক : আমাদের শিক্ষকরাই তখন এ ধরণের মানসিকতা লালন করতেন। তাঁরা এ বিষয়টির সুন্দর সমন্বয় করতেন। ফলে দরসে কোন সমস্যা হতো না। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মাঝে মধ্যে প্রয়োজনে দরস আগ-পিছ করা হতো। যাতে করে ছাত্ররা আন্দোলন-সংগ্রাম করে আবার যথা সময়ে ফিরে আসতে পারতো।

আত তাগলীব : ছাত্র থাকাকালীন সময়ের সাংগঠনিক তৎপরতার কিছু স্মৃতি!

মাওলানা মামুনুল হক : ছাত্র থাকাকালীন সময়ের সাংগঠনিক তৎপরতার স্মৃতি তো অনেক। যখন জীবনে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী কর্মশালায় অংশগ্রহণ করলাম, সময়টা ছিল মাদরাসা বন্ধের। পরীক্ষাটাও শেষ হয়েছে। দীর্ঘদিন নির্ঘুম থাকায় চোখে ছিল রাজ্যের ঘুম। বিশ্রামের অবকাশ। তারপরেও স্বাভাবিক ছুটি কাটানোর চেয়ে কর্মশালায় সময় প্রদান নিজের জন্য অনেক আনন্দদায়ক ও তৃপ্তির ছিল।

আমার হাতের লেখা ভালো ছিল, নিয়মিত দেয়াল রাইটিং করতাম। তার জন্য রাতের পর রাত জেগে কাটানো, দলবেঁধে ছুটে বেড়ানো, মানুষের কাছে কর্মসূচির দাওয়াত পৌঁছে দেয়া ছিল অন্য রকম আনন্দের।

আত তাগলীব : এ সকল তৎপরতার জন্য বাঁধা বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়নি?

মাওলানা মামুনুল হক : শায়খুল হাদীস রহ. এর গ্রেফতারের প্রতিবাদে দেয়াল লিখন করেছিলাম। এটা ছিল একটা ঝুঁকিপূর্ণ তৎপরতা। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের বিষয়। তখন আমাদেরকে পুলিশ আটক করে ভ্যানেও তুলেছিল । আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অবশ্য পরে আবার ছেড়ে দেয়। আরেকবার দেয়াল লিখন করতে গিয়ে ইসলাম বিদ্বেষী ছাত্রসংগঠনের কর্মীদের হুমকিরও স্বীকার হয়েছিলাম। তারা অস্ত্র নিয়ে আসার হুমকি দিয়ে ফিরে যায়। আমরা তাদের আসার পূর্বেই দেয়াল লিখন সম্পন্ন করে সরে পড়ি।

শাইখুল হাদীস রহ.সহ নেতৃবৃন্দ

আত তাগলীব : প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও তো বিভিন্ন প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন? সে সম্পর্কেও যদি কিছু বলতেন!

মাওলানা মামুনুল হক : শুরুর দিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন সংগ্রামের অনুমতি থাকলেও কোন সংগঠনের অনুমতি ছিল না। তবে আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য প্রশিক্ষিত দায়িত্বশীল প্রয়োজন। সে প্রয়োজনীয়তা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলরা অনুভব করতেন। শুধু এতোটুকুই না, বিভিন্ন সময় ছাত্ররা মিছিল করতে গেলে কিভাবে মিছিল করবে তারও নির্দেশনা সংগঠনের ছাত্র দায়িত্বশীলদের এনে তাদের মাধ্যমে দেয়া হতো। মোটকথা সীমিত পরিসরে ছাত্রদের যে আন্দোলন সংগ্রাম করতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন তা মৌখিকভাবে না হলেও কার্যত বাস্তবায়ন করা হতো। সেই সূত্রে আমরা কাজ করেছি। প্রথমত তেমন সমস্যা হয় নাই। পরবর্তীতে সমস্যা হয়েছে, আর তা শুধুমাত্র সংগঠন তৈরি করার কারনে হয়নি। বরং প্রতিষ্ঠানের কিছু সংখ্যক দায়িত্বশীলদের দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্যের কারণে হয়েছে। একটা সময় পর্যন্ত তারা একচ্ছত্রভাবে শায়খুল হাদিস রহ. এর চিন্তা চেতনা লালন করতেন। শায়খের সকল কার্যক্রমে তারা সহযোগিতা করতেন। কিন্তু হঠাৎ তাদের আন্দোলন-সংগ্রামের পরিবর্তে দ্বীনের অন্য কাজের প্রতি অতি আসক্তি তৈরি হল। তখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন প্রতিকূলতার দেখা দিল ।

ঢাকায় যুব মজলিসের দাওয়াতি মিছিল

আত তাগলীব : ছাত্রসংগঠনকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?

মাওলানা মামুনুল হক : ছাত্রসংগঠনকে আমি যতটা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি ততই আমি আশাবাদী হয়েছি। ভালোভাবে একটি ছাত্রসংগঠন করতে পারলে দেশ, জাতি ও মিল্লাতের জন্য কল্যাণকর ভূমিকা রাখা ও বিপ্লব করা সম্ভব। ছাত্রশক্তির সংগঠিত হওয়া ছাড়া অন্য কোনভাবে এটা করা অতটা সহজ না।

আত তাগলীব : যুব মজলিস গঠনের সময় ছাত্রসংগঠন গড়ার চিন্তাটা কী ছিল?

মাওলানা মামুনুল হক : বিশেষ এক প্রেক্ষাপটে যখন নতুন করে কাজ শুরু করলাম। তখন আমার ছাত্রসংগঠন করার যে অভিজ্ঞতা ছিল; তাতে তৎকালীন ছাত্রসংগঠনের মধ্যে বেশ কিছু সমস্যা অনুভব করেছিলাম। সে সমস্যা সমাধান করার সুযোগও ছিল না। মূলত সে সমস্যা সমাধান করা গেলে অনেক দূর অগ্রসর হওয়া সম্ভব ছিল। সেই প্রেক্ষাপটেই ছাত্রসংগঠনের কাজে হাত দিই। প্রথমে যতটুকু সহজ মনে করেছিলাম কাজটা তার চেয়েও আরো বহু কঠিন। কিন্তু কখনোই মনে হয়নি আমরা পারবো না। আস্তে আস্তে লক্ষ্য পূরণের আশা বেড়েই চলেছে এবং অল্প অল্প করে আমরা মানজিলে মাকসুদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এখনতো আরো বেশি আশাবাদী, কারণ হলো শুরুর দিকে যে সমস্যাটা ছিল একটা স্পিড টিম তৈরি করা, সেটা এখন অনেকটাই তৈরি হয়ে গেছে। এখন মোটামুটি সংগঠনের প্রাথমিক বুনিয়াদ গড়ে উঠেছে এবং সামনের কাজ আরো বেশি গতিশীল হবে, ইনশাআল্লাহ।

আত তাগলীব : ছাত্রদের উদ্দেশ্যে যদি কিছু বলতেন!মাওলানা মামুনুল হক : ছাত্রসংগঠন সম্পর্কে যে ধারণা প্রচলিত আছে যে, ছাত্ররা শুধুমাত্র মাঠে ময়দানে কাজ করবে। আমরা সে চিন্তায় সংগঠন করি না। আমরা মনে করি বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস বৃহৎ পরিসরের ক্যাম্পাসবিহীন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কাজেই ছাত্ররা এ সংগঠনের সাথে নিজেদের যুক্ত করলে আমি আশা করি বর্তমান সময়ে দেশ, জাতি ও মিল্লাতের প্রকৃত সৈনিক হিসেবে গড়ে উঠার জন্য উত্তম সহায়তা পাবে। এ সংগঠনের অন্তর্ভুক্তি তাদের জীবনের লক্ষ্য পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হবে ইনশাআল্লাহ।

শেয়ার করুন

আরো পড়ুন

যোগদিন আমাদের সাথে

ইসলামের মূল তিন কাজ- তা’লীমে দ্বীন (দ্বীনের শিক্ষা), তাবলীগে দ্বীন (দ্বীনের দাওয়াত) ও তাগলীবে দ্বীন (দ্বীনের বিজয়) এর সমন্বয়ে ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য পাঁচ দফা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১. দাওয়াত, ২. সংগঠন, ৩. প্রশিক্ষণ, ৪. সমাজকল্যাণ, ৫. আন্দোলন। আমি বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস ঘোষিত কর্মসূচির সাথে একাত্মতা পোষণ করছি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে এ সংগঠনে যোগদান করছি।

Scroll to Top