আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর’২৪) দুপুর দুইটা থেকে রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের উদ্যোগে শিক্ষাকে বিউপনিবেশায়ন করে স্বাধীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়নের দাবিতে শিক্ষা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মা’মু’নু’ল হক।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, অনলাইনে আমার বিরুদ্ধে ইউটিউব ও ফেসবুকে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাখা হয়েছে। আমার বক্তব্য প্রচার করে শতাধিক জাতীয় গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টাল রেস্ট্রিকশনের শিকার হয়েছে।
তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের উদ্দেশ্যে মাওলানা মামুনুল হক আরও বলেন, আপনারা বিলাসিতা করেন। আমাদের সমস্যাগুলো সমাধানের চিন্তা আপনাদের নাই। আপনারা উপদেষ্টারা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারবেন না আমাদের সহযোগিতা ছাড়া। আমার এই বক্তব্যের ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি আপনারা ব্যবস্থা না নেন। আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
তিনি আরো বলেন, আন্দোলন সংগ্রামে আমরা ছিলাম। আমরা রক্ত দিয়েছি। কারারুদ্ধ হয়েছি, অন্যায় অবিচারের শিকার হয়েছি। ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। যুদ্ধ করে বিজয়ের রণাঙ্গণেও ছিলাম আমরা। এখন রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেওয়ার কাজে আমরা সহযোগিতা করতে চাই। আমাদের গায়ে পড়ে সহযোগিতা যদি পায়ে ঠেলতে চান। তাহলে সেই পা আমরা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিবো। আমরা বাংলাদেশকে সুন্দর ও সমৃদ্ধিশালী করতে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, সকল শ্রেণির শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। আমাদের উপেক্ষার ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা বেশি দিন চুপ করে থাকবো না। শিক্ষা কমিশনে এদেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। না হলে শিক্ষা কমিশনের কোনো সুপারিশ মানা হবে না।এছাড়া শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালে ঘটানো হত্যার ঘটনার তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মামুনুল হক।
এছাড়াও ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠনগুলো থেকে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি নুরুল বশর আজিজী, ছাত্র জমিয়ত (একাংশ) এর সভাপতি রিদওয়ান মাযহারী, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন এর সভাপতি মাসুম রানা জুয়েল, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সমাজের সভাপতি এহতেশামুল হক সাখি, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মুহাম্মাদ প্রিন্স, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান ফারুকী, ছাত্র জমিয়ত (একাংশ) এর সভাপতি খালিদ মাহমুদ, বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের সভাপতি সৈয়দ মিলন, ভাসানী ছাত্র পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মোশাররফ হুসাইন, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আহমদ ইসহাকসহ অন্যান্য ছাত্রনেতাবৃন্দ।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ওযায়ের আমীন, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, কেন্দ্রীয় সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শামসুদ্দোহা আশরাফী, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের সাবেক সভাপতি পরিষদ সদস্য ও যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বিভাগের সম্পাদক মাওলানা শরীফ হুসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-অধ্যাপক জনাব আরিফুল ইসলাম অপু, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও যুব মজলিসের ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা জাহিদুজ্জামান, সাবেক সভাপতি পরিষদ সদস্য ও যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফ, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আল আবিদ শাকির, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও যুব মজলিস ঢাকা জেলা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা জাকির হুসাইন, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও যুব মজলিস ঢাকা জেলা দক্ষিণের বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা মোশাররফ হুসাইন লাবীব, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মোল্লা মুহাম্মাদ খালিদ সাইফুল্লাহ। এছাড়াও যুব ও ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় ও জেলানেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।