৩০ আগস্ট। মাগরিবের কিছুটা পূর্ব মুহূর্তে, দক্ষিণখান থানা পুলিশ গণস্বাক্ষর প্রোগ্রামস্থল থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। রাত আটটা থেকে সাড়ে আটটার দিকে রাজারবাগ মিন্টু রোডে ডিবির কাছে হস্তান্তর করে। ২৩ তারিখ রাত্রি যাপন করি ডিবি কার্যালয়ে। সকাল সাতটার দিকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে একদিনের রিমান্ডে পুনরায় নিয়ে আসা হয় মিন্টু রোড ডিবি কার্যালয়ে। ২৫ তারিখ রিমান্ড শেষে ২৬ তারিখ শুক্রবার সকালে পুনরায় ঢাকা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট হয়ে বিকাল নাগাদ কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। শুরু হয় কারাজীবনের দিনরাত। করোনার অজুহাতে কোয়ারেন্টাইনে সাত দিন অতিবাহিত করি । এরপর ওয়ার্ডে প্রায় দেড় মাস অবস্থান করি । পরবর্তীতে শাইখের নির্দেশে চলে যাই কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে। এখানে ১৭ থেকে ১৮ দিন অবস্থান করে অবশেষে আল্লাহর অশেষ রহমতে চার নভেম্বর বাদ আসর গাজীপুর কেন্দ্রীয় কারাগার হাই সিকিউরিটি থেকে জামিনের মুক্ত হয়ে খোলা আকাশের নিচে স্বাধীন ভাবে চলাফেরার সুযোগ পাই। আলহামদুলিল্লাহ।
দীর্ঘ দুই মাস ১৩ দিনের কারাভোগ। এ সময়ে বিভিন্ন চিত্র মানবিক দৃষ্টিকোণ ও ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে সার্বিক বিভিন্ন দিক নিয়ে ভালো মন্দ অনেক কিছুই দেখা ও বোঝার সুযোগ হয়েছে। অনুধাবন করেছি অনেক আসামির বাস্তবসম্মত অপরাধ ও অপরাধের কারণ। অনেক নিরপরাধ বন্দীদের মনের আর্তনাদ । তাই বিষয়গুলো নিয়ে কারাগারের এপিঠ ওপিঠ নামে পয়েন্ট আকারে কিছু কথা লিখতে চাই।
এক
কারাগার একটি নিরাপদ জোন। সত্যি কারাগার একটি নিরাপদ জোন। ঢাকা কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ মাত্রই সুউচ্চ প্রাচীরের ডান বাম দুপাশে লেখা আছে- রাখিবো নিরাপদ দেখাবো আলোর পথ। কারাগারের বাহিরের স্বাভাবিক জীবনযাপনের তুলনায় কারাগারের ভেতর অনেক দৃষ্টিকোণ থেকেই নিরাপদ। কারাগারে এক্সিডেন্ট ও সন্ত্রাসী আক্রমণের আশঙ্কা একেবারেই কম। শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণ থেকে অনেকটা মুক্ত। পুলিশি হয়রানি ও গ্রেফতারের ভয় তো নেইই!
তবে নিরাপদে থেকে অন্ধকারাচ্ছন্ন মানুষগুলো আরো অন্ধকারে ডুবে যায়। অপরাধীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। কেননা ছোট বড় সকল অপরাধীরা একসাথে থেকে ছোট অপরাধীরাও আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তাদের মনোবল আরো চাঙ্গা হয়। মাদক ও বিভিন্ন অবৈধ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা পরস্পর পরিচিত হয়। তাদের মধ্যে বোঝা পড়া হয়। এতে তাদের অবৈধ কার্যক্রম ও মাদক প্রাচার আরো বেড়ে যায় । তাদের নতুন নতুন লিংক ও রাস্তা তৈরি হয়। বিশেষত যারা মাদকাসক্ত, কারাগার তাদের জন্য হতে পারতো একটি বাস্তবতা সম্পন্ন শোধনাগার, একটি কার্যকর চিকিৎসা কেন্দ্র। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবে, তাদের কার্যকর পদক্ষেপ না থাকার কারণে মাদকাসক্ত মানুষগুলো আরো অধিক মাদকাসক্তে জড়িয়ে পড়ে। প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা ছাড়া কারাগারের ভেতর কোন প্রকার মাদকদ্রব্য প্রবেশ করা অসম্ভব । বিড়ি সিগারেট তো একটি মামুলি বিষয়, গাজা ইয়াবা ও নানাবিদ মরণব্যাধী মাদক আড়াল আবডালে চলতে থাকে। কথায় আছে কারাগারের ভেতর টাকা চলে না, তবে টাকা ছাড়া কিছুই হয় না। আবার টাকা হলে সব কিছুই পাওয়া যায়। এটাই হলো সোনার বাংলার আলোর মুখ দেখানোর সোনার কারাগার!
দুই
কারাগার একটি পরিচ্ছন্ন দূষণমুক্ত আবাসিক এলাকা। বিশেষ করে কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের চিত্রটা একটু আলাদা। চতুর্দিকে উঁচু দেয়াল পরিবেষ্টিত একটি নিরাপদ আবাসিক এলাকা। মজবুত শক্তিশালী লোহার গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশের সাথে সাথে রাস্তার দু’ধারে সারি সারি ঝাউগাছ। প্রতিটি ভবনের চতুর্দিকে রয়েছে ৫ থেকে ৬ ফিট উঁচু দেয়াল। ভবন প্রতিটি নানা রকমের ফল গাছে আবৃত। বিশাল আকারে রয়েছে দুটি খেলার মাঠ। মাঠের চতুরপাশে রয়েছে হাঁটাচলা ও ব্যায়ামের জন্য প্রশস্ত রাস্তা। রাস্তার দুধারে রয়েছে কাঁঠাল ও আম গাছের সারি। সবুজ ঘাসে ভরা কারপেটিং মাঠের চিত্রটা বেশ সুন্দর। মাঠের চতুর্পার্শ্বে মাঝে মাঝে রয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য ঢালাইকৃত চেয়ারের ব্যবস্থা । বন্দিদের জন্য বসবাসের ভবনগুলো ডান দিক থেকে- পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, মধুমতি, বনফুল, বকুল, শাপলা, সূর্যমুখী, রুপসা, মনিহার, কড়তোয়া, কর্ণফুলী। প্রতিটি ভবন ছয় তলা বিশিষ্ট। ৬০০ থেকে প্রায় আটশত বন্দীকে নিয়ে বসবাসযোগ্য এক একটি ভবন । একটি ভবন থেকে আরেকটি ভবন নির্ধারিত দূরত্ব বজায় রেখে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ভবনের নিচে রয়েছে রান্নাবান্নার জন্য চৌকা ,পিসি বা ক্যান্টিন ব্যবস্থা , পর্যাপ্ত ওয়াশরুম ও গোসলের হাউস। রুপসা ও মধুমতির নিচে রয়েছে শপিংমল, কফি হাউস ও অন্যান্য দোকানপাট।
তবে দুঃখজনক হলো এত সুন্দর ব্যবস্থাপনা ও গোটা আবাসিক এলাকাকে প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষ একটি বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত করেছে। শুধুমাত্র বাণিজ্য কেন্দ্র বললে ভুল হবে বা ছোট করা হবে । এ যেন অসহায় বন্দি মানুষগুলোর সাথে নিষ্ঠুর নির্মমতার চরম দৃষ্টান্ত যা জাহিলিয়াতের চরম ঘৃণ্য আচরণকেও হার মানায়। বন্দি আসামিদের জন্য বরাদ্দকৃত খাবার বিক্রি করা হয় অন্য বন্দি আসামীর কাছে। স্পেশাল নামে ৬০ টাকা পিস ডিম, ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা কেজি গরুর গোশত, ২৪০০ টাকা কেজি খাসির গোশত। ১৫০ টাকা পিস মাছ । এভাবে প্রতিটি ফল-ফলাদি পোশাক ও খাবারদাবারের মূল্য দুই তিন চার গুণ চড়া মূল্যে নিতে হয় বন্দী আসামিদেরকে। জিনিসপত্রের কোয়ালিটির মান বা নাই বললাম । তবে হা এটা খুশির ব্যাপার- টাকা দিয়ে হলেও যে পাওয়া যায় এটাও কম কিসের! চাইলে তো বন্দী আসামিদেরকে তিন বেলার জায়গায় একবেলা খাবার দিলেও পারতেন! আফসোসের ব্যাপার হল কারাবন্দিদের জন্য ব্রিটিশ রানীর পক্ষ থেকে খাবার দাবারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে বরাদ্দ আসে, অনুদান আসে, কিন্তু আমরা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বলে কথা!
করোনার আক্রমণ প্রায় শেষ হয়েছে এক বছরের উপর। কিন্তু করোনার এই কোয়ারেন্টাইন সেল এখনো শেষ হয়নি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে। কারণ কোয়ারেন্টাইন এটি একটি আধুনিক বাণিজ্যের সুন্দর রূপায়ণ । কুয়ারেন্টাইনে থাকতে হয় আগত প্রতিটি বন্দিকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত। এই এক সপ্তাহে প্রতিটি বন্দি থেকে নানা উপায়ে আদায় করা হয় ১০০০ থেকে ৩০ হাজার টাকা । আহ! কারাগারের প্রতিটি বালুকণা যেন বন্দিদের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে, কিভাবে কোন কৌশলে এই বন্দী আসামির পকেট থেকে টাকা উদ্ধার করা যায় ! নিষ্ঠুর নির্মমতার এ কেমন করুন দৃশ্য!
তিন
কারাগারে বন্দি আসামিদের চিন্তাশক্তি, মনমানসিকতা, শিক্ষা দীক্ষা উন্নয়ন ও শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য রয়েছে কেন্দ্রীয় কারামক্তব, কারালাইব্রেরী ও শরীরচর্চার জন্য জিম কেন্দ্র। মনন চর্চা কেন্দ্রও রয়েছে। এসকল প্রতিষ্ঠান সেবামূলক ফ্রি সার্ভিস দেওয়া হয় কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। কারাগারের আলেম ওলামা ও দ্বীনদার ভাইদের পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় কেন্দ্রীয় কারামক্তব ও কারামক্তবের প্রতিটি শাখা। যেখানে শিক্ষা দেওয়া হয় পবিত্র কুরআনুল কারীমের আক্ষরিক জ্ঞান থেকে শুরু করে সাবলীলভাবে কোরআন দেখে দেখে পড়তে পারার যোগ্যতা , বিশেষ তত্ত্বাবধানে চলে হিফজুল কোরআন। তাছাড়া জরুরী মাসআলা মাসায়েল, সূরা কেরাতের মাশক ও দাওয়াতের মেহনত পরিচালনা করেন। আলহামদুলিল্লাহ, আলেম-ওলামা ও দ্বীনের দায়ীগণ যেখানেই থাকেন যেভাবেই থাকেন, সর্বাবস্থায় মানুষের কল্যাণ, মানুষের ঈমান আকিদা ও আমলের উন্নতি এবং বিশুদ্ধ চিন্তা মানসিকতার উৎকর্ষ সাধনে তারা সদা চেষ্টা মেহনত করে থাকেন কারাগারের ভিতরেও।
কারাগারে যারাই ভালো চিন্তা লালন করেন অথবা বিগত অপরাধ থেকে ফিরে আসেন, এর অধিকাংশই দ্বীনের এসকল দায়ী ও মক্তবগুলোর কার্যকর পদক্ষেপের ফলাফল। তাদের মেহনতের বরকতে কারাগারেও অনেক কঠিন মাদকাসক্ত ব্যক্তি, বড় বড় অপরাধে জড়িত আসামি নিজেদের কৃতকর্মের উপর তওবা করে ভালো হয়ে যান। দ্বীনের পথে ফিরে আসার অঙ্গীকারবদ্ধ হন। তাছাড়া কারামক্তবে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পবিত্র কুরআনুল কারীম, কায়দা আমপারাসহ হাদিসের অনেক কিতাব। ইসলাম ও আমলের উপর লিখিত আলেম-ওলামাদের লেখনী অনেক গ্রন্থ সমূহ যা থেকে সাধারণ লোকজন উপকৃত হতে পারেন। তবে কেন্দ্রীয় কারালাইব্রেরী ও মননচর্চার লাইব্রেরীতে রয়েছে সাধারণ বই পুস্তক। যার অধিকাংশই হল স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাদের জীবন ইতিহাস। বাংলা সাহিত্য, কবিতা ও উপন্যাসের কিছু পরিমাণ বইও রয়েছে, যা থেকে মানুষ জ্ঞানের ভান্ডার প্রশস্ত করতে সুযোগ লাভ করে । বলা বাহুল্য, সবকিছুর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে রয়েছে ঠিক; হয়তো আন্তর্জাতিক মানবতা বিরোধী আইনের লঙ্ঘন হবে বলে তারা এসব ব্যবস্থাপনা করছেন অথবা যে কারণেই হোক তারা এ ব্যবস্থাপনা করেছেন; কিন্তু কর্তৃপক্ষের ভালো কাজে রয়েছে আন্তরিকতার যথেষ্ট অভাব। কর্তৃপক্ষ চাইলে কারামক্তব ও কারালাইব্রেরির মাধ্যমে হাজারো মাদকাসক্ত চোর ডাকাত সন্ত্রাসসহ সকল ধরনের অপরাধীদেরকে ভালো, সুস্থ ও ভদ্র মানুষ গড়ার কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু মানুষ যদি ভাল হয়ে যায় তাহলে অবৈধ চাঁদাবাজি লুটতরাজ ও দুর্নীতি কাদের সাহায্য সহযোগিতায় করবে? কথায় আছে , চোর নাহি শুনে ধর্মের কাহিনী! তবুও শুভকামনা করি কারা কর্তৃপক্ষের কাছে। ভালোর আশা রাখি তাদেরই সমীপে। যেহেতু সময়-অসময়ে নিরপরাধ ও ভালো লোকদেরও যেতে হয়, থাকতে হয় সেখানে।
চার
কেইস টেবিল । কারাগারের মধ্যে সকলের পরিচিত, সকলের প্রয়োজনীয় একটি জায়গার নাম কেইস টেবিল। প্রতিটি কারাগারে রয়েছে কেস টেবিল। একটি সেটের নিচে চেয়ার টেবিলের সমন্নয়ে তৈরি হয় কেইস টেবিল। যেখানে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে কেইস ফাইল সমাধান । সুপারফাইল জেলার ফাইল সুবেদার ফাইল এভাবে ধারাবাহিক চলতে থাকে কেইস ফাইল। কারা অভ্যন্তরীণ সকল বন্ধিদের আস্থা ভরসার জায়গা হলো কেস টেবিল। সকল বিষয়ে তাৎক্ষণিক বিচার-আচার জরিমানা সমাধান আপস মীমাংসা হয় কেস টেবিলে। আশ্চর্যের বিষয় হলো কয়েক হাজার বন্দী আসামিদের বসবাস একসাথে। শত রূপের অপরাধীরা একসাথে বসবাস করছে কিন্তু তাদের মাঝে পরস্পর বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর গঠনা বা মারামারি হাঙ্গামা তেমন একটা হয় না বা হচ্ছে না। সুন্দর স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় থাকে। এর অন্যতম কারণ হলো কেস টেবিলে প্রতিদিনের নগদ বিচার মীমাংসা ।
তবে প্রতিটি বিচার প্রতিটি মামলা যে ইনসাফ ও ন্যায়ের সাথে হয়ে থাকে এটা অসম্ভব। কেননা আরবি প্রবাদ আছে “প্রত্যেক পাত্র থেকে ওই জিনিসই বের হয় যা পাত্রের ভিতর থাকে” বিচার যে ধরনেরই হোক যেহেতু বিচার- সমাধান সাথে সাথে হয়ে যায় , তাই এর ফলাফল ও প্রতিক্রিয়া অপরাধীদের উপর ও সমাজের উপর ভালো হয়। ব্যতিক্রম হল আমাদের দেশীয় কোর্ট – কাচারি , আইন -আদালতের বিচার সমূহ। বছর কি বছর পর্যন্ত ঝুলে থাকে বিচারের রায়। দশ বছর ২০ বছর পর যখন রায় হয় বিচারের শাস্তি ঘোষণা করা হয় তখন সাধারণ মানুষ অপরাধের কথা স্মরণই রাখে না। এতে করে বিচার যেমন সুষ্ঠু ও সঠিক হয় না তদ্রুপ এর ফলাফল ও অন্যদের উপর পড়ে না। অথচ বিচারের উদ্দেশ্যই হল অপরাধের শাস্তি ও অন্যদেরকে সতর্ক করা । বিচার ও রায় বিলম্বিত হলে উভয়টাই বেস্তে যায়। তাই একথা বলতে দ্বিধা নেই, ইনসাফ ভিত্তিক ন্যায়বিচার ও বিচারের ফলাফল কার্যকর হওয়া কেবলমাত্র ইসলামী শরিয়া ও ইসলামী বিচারিক ব্যবস্থায়ই সম্ভব।