সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বানভাসি মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে খেলাফত ছাত্র মজলিস
——–
বানভাসি মানুষের দিন কাটছে চরম ভয় ও শংকায়। বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটে ভোগান্তির শেষ নেই। শিশুদের নিরাপদ আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় খাবার যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ স্বচ্ছল পরিবারকেও দাড় করিয়েছে অসহায়ত্তের পাটাতনে।
জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে আসলেও মাফিয়া নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া উপযুক্ত কভারেজ করছে না। সরকারি সহযোগিতা ধুমকেতুর মতো হয়ে গিয়েছে। নেতারা যতটুকু দিচ্ছে তারচেয়ে বেশি ফটো সেশন করছে। সাধারণ মানুষের জীবন মৃত্যুর প্রশ্নেও দূর্নীতিতে আকন্ঠ ডুবে আছে আমাদের উপর জগদ্দল পাথরের ন্যায় চেপে বসা মাফিয়ারা। খেলাফত ছাত্র মজলিস সরকারি উচ্চ মহলের তত্ত্বাবধানে কাঙ্খিত মানের জরুরি সেবা পৌঁছে দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে।
বাংলার মাটি ও মানুষের প্রকৃত কল্যাণকামী ওলামায়ে কেরাম বরাবরের মতো চলমান সংকটেও ময়দানে রয়েছেন। প্রথম দিন থেকে সাধারণ নাগরিকদের কষ্ট লাঘবে প্রাণোৎসর্গী সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় বানভাসি মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস।
এসকল কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মানবতার সংগঠন বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের মুহতারাম কেন্দ্রীয় সভাপতি মোল্লা মুহাম্মাদ খালিদ সাইফুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীন, গণ মানুষের সংগঠন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস গোয়াইনঘাট থানার সভাপতি মাওলানা জাকারিয়া মাশুক, গোয়াইনঘাট থানার সেক্রেটারি মুফতি মাশুক আহমদ, গোলাপগঞ্জ থানার সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল জলিলসহ বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের সিলেট জেলা দায়িত্বশীল আব্দুল্লাহ সোহাগ, মিজানুর রহমান, মামুনুর রশীদ, রায়হান বিন জলিলসহ বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ও বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের স্থানীয় দায়িত্বশীলবৃন্দ ।
প্রথম দিন থেকেই জরুরি নির্দেশনার মাধ্যমে আমাদের সমাজসেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত আমাদের সেবা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বিভাগে আপনার সহযোগিতা পৌঁছে দিতে পারেন।