খুবাইব মাহমুদকে হয়রানিকারী পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনতে হবে: বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস

চিরায়ত সম্পাদক খুবাইব মাহমুদকে গতকাল (২৯ অক্টোবর’২৪) রাতে ইসলামী ব‌ইমেলা থেকে ফেরার পথে গুলিস্তান ট্রাফিক বক্সের কাছ থেকে কোনো পূর্ব অভিযোগ ছাড়াই সাদা পোশাকে উঠিয়ে নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি দল। পরবর্তীতে পল্টন থানায় দীর্ঘ পাঁচ/ছয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের নামে হয়রানি করা হয়। উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস।

 

আজ (৩০ অক্টোবর’২৪) সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীন ও সেক্রেটারি জেনারেল আশিকুর রহমান জাকারিয়া এক সংবাদ বিবৃতিতে বলেন, আমরা খুব উদ্বিগ্ন হয়ে লক্ষ্য করছি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ফ্যা’সিস্ট আর ইসলামফো’ব চরিত্র এখনো রয়ে গেছে। গতকাল চিয়ায়ত সম্পাদক খুবাইব মাহমুদকে বিনা ওয়ারেন্টে তুলে নিয়ে গুম চেষ্টা ও জিজ্ঞাসাবাদের নামে দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে হয়রানি এর‌ই দৃষ্টান্ত। পতিত স্বৈ’রা’চার বিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয় ২০১৩ এর হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের মাধ্যমে। এই আন্দোলনকে দমন করতে ৫ই মে ইতিহাসের অন্যতম গণহ’ত্যা চালানো হয়। সেই গণহ’ত্যার ইতিহাস সংরক্ষণে ‘শাপলানামা’ নামে স্মারক প্রকাশ করে চিরায়ত। খুবাইব মাহমুদের ভাষ্যে, শাপলানামা প্রকাশের কারণে‌ই এই হয়রানির শিকার হতে হয়। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, পুলিশের ঔপনিবেশিক চরিত্র এখনো রয়ে গেছে। বৃটিশরা পুলিশকে গঠন করেছিল দমনপীড়নের উদ্দেশ্যে। এখনো পুলিশ দম’ন পীড়’নের হাতিয়ার হিসেবে‌ই ব্যাবহৃত হচ্ছে। পুলিশকে জনবান্ধব করতে আমূল সংস্কার করতে হবে এবং খুবাইব মাহমুদকে হয়রানিকারী পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

শেয়ার করুন

আরো পড়ুন

যোগদিন আমাদের সাথে

ইসলামের মূল তিন কাজ- তা’লীমে দ্বীন (দ্বীনের শিক্ষা), তাবলীগে দ্বীন (দ্বীনের দাওয়াত) ও তাগলীবে দ্বীন (দ্বীনের বিজয়) এর সমন্বয়ে ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য পাঁচ দফা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১. দাওয়াত, ২. সংগঠন, ৩. প্রশিক্ষণ, ৪. সমাজকল্যাণ, ৫. আন্দোলন। আমি বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস ঘোষিত কর্মসূচির সাথে একাত্মতা পোষণ করছি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে এ সংগঠনে যোগদান করছি।

Scroll to Top