আসুন! একটি কথায় একমত হই: মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক

আসুন! একটি কথায় একমত হই

تعالوا الى كلمة سواء بيننا وبينكم

কওমী মাদরাসা শিক্ষার সরকারী স্বীকৃতি ইস্যু নিয়ে দ্বিধা-দন্দ চরম পর্যায়ে পৌছার উপক্রম ৷ কওমীর শীর্ষ ব্যক্তিবর্গ স্পষ্ট দুই ভাগে বিভক্ত ৷ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কওমী শিক্ষাণীতি যাচাই বাছাই বিষয়ক উপ কমিটি গঠনের পর থেকে প্রতিনিয়ত পরিস্থিতি অবণতির দিকে গড়াচ্ছে ৷ সাধারণ শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত বিষয়টিতে জড়িয়ে পড়ছে দৃষ্টিকটু উপায়ে ৷ বড় বড় ওলামায়ে কেরামের ব্যাপারে অশালীন ও আপত্তিজনক মন্তব্য-বক্তব্যে সচেতন মহল উদ্বিগ্ন ৷ বিষয়টি নিয়ে মতপার্থক্যের সুযোগে সীমালঙ্ঘন হচ্ছে প্রতিনিয়ত ৷ আমরা চাই সুন্দর উপায়ে কল্যাণকামিতার ভিত্তিতে এই বিতর্কের মীমাংসা হোক ৷

সকলেই লক্ষ করছেন, স্বীকৃতি নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই-সকলেই এব্যপারে একমত ৷ খুঁটিনাটি যে বিষয়গুলো নিয়ে ময়দান বেশি উত্তপ্ত সেগুলোকে ছেঁটে ফেলবার সময় হয়েছে ৷ আব্দুল জব্বার সাহেব, নূর হোসাইন কাসেমী সাহেব কিংবা ফরিদ উদ্দীন মসউদ সাহেব অথবা জমীয়তের দুই গ্রুপ বা অন্য কোনো পক্ষকে দোষারোপ কিংবা গালমন্দ করাকে আমরা পছন্দ করি না ৷ এটা কোনো সচেতন ব্যক্তির কাজ হতে পারে না ৷ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগুলো পরিহার করার আহ্বান জানাই ৷ সেই সাথে মৌলিক ও গঠনমূলক একটি প্রশ্নের ভিত্তিতে সাধারণ ছাত্র-শিক্ষকের জনমত যাচাই করে সে আলোকে পদক্ষেপ নিতে মুরব্বীদেরকে আমরা অনুরোধ জানাতে পারি ৷

স্বীকৃতি চাই এটা নিয়ে যেমন বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই, তেমনি কওমীর স্বকীয়তা-স্বাধীনতা বহাল রাখার বিষয়েও কোনো দ্বিমত নেই ৷ তাহলে এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই তো এই বিরোধের মীমাংসা হওয়া সম্ভব ৷ তবে স্বকীয়তার ব্যখ্যা নিয়ে মতপার্থক্যের অবকাশ থেকেই আবার বিতর্ক শুরু হয়ে যায় ৷ তাই আমার কথা হল, এই বিতর্কের অবসানকল্পে আমরা একটি মানদণ্ড সাব্যস্থ করি যা দেওবন্দের উসূলে হাশতেগানার সপ্তম ধারার আলোকে নির্ধারিত ৷ সেটি হল, কওমীর স্বীকৃতি বাস্তবায়নে যে কর্তৃপক্ষ বা অথরিটি গঠিত হচ্ছে বা হবে তা গঠনের এখতিয়ার থাকবে কওমী মাদরাসা সমূহের হাতে, সরকারের হাতে নয় ৷ মজলিসে শূরার অধিকাংশের মতে তা গঠিত হবে ৷ দেশের সকল দাওরায়ে হাদীস/ মেশকাত/ কাফিয়া /কিতাব বিভাগ পর্যন্ত অথবা মক্তব হেফজখানাসহ সকল মাদরাসা মজলিসে শূরার সদস্য হবে ৷

জামিয়া রাহমানিয়ার দরসে হাদিসের মসনদে মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক হাফিযাহুল্লাহ

যারা মনে করেন কওমীর নেতৃত্ব নির্বচনের দায়িত্ব কওমীর হাতে না থেকে সরকারের হাতে থাকলে ( উসূলে হাশতেগানার আলোকে) স্বকীয়তা রক্ষা পাবে না তারা আমার সাথে সহমত পোষন করুন ৷ আর যারা মনে করেন সরকারের হাতে থাকলেও স্বকীয়তা রক্ষা পাবে তারা দ্বিমত পোষন করুন ৷

আরজ গুজার
মুহাম্মাদ মামুনুল হক
জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া

শেয়ার করুন

আরো পড়ুন

যোগদিন আমাদের সাথে

ইসলামের মূল তিন কাজ- তা’লীমে দ্বীন (দ্বীনের শিক্ষা), তাবলীগে দ্বীন (দ্বীনের দাওয়াত) ও তাগলীবে দ্বীন (দ্বীনের বিজয়) এর সমন্বয়ে ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য পাঁচ দফা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১. দাওয়াত, ২. সংগঠন, ৩. প্রশিক্ষণ, ৪. সমাজকল্যাণ, ৫. আন্দোলন। আমি বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস ঘোষিত কর্মসূচির সাথে একাত্মতা পোষণ করছি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে এ সংগঠনে যোগদান করছি।

Scroll to Top