‘অনতিবিলম্বে উপদেষ্টা মাহফুজের বক্তব্য প্রত্যাহার, বইমেলায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে দায়ী ও জনপরিসরে মিথ্যা তথ্য প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি’
—বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস
অমর একুশে গ্রন্থমেলা’২৫ এর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস ও তৌহিদী জনতাকে হুমকি দিয়ে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের দেওয়া ফেইসবুক স্ট্যাটাসের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীন এক বিবৃতিতে বলেন, গতকাল ১০ ফেব্রুয়ারি’২৫ ইসলামবিদ্বেষী ও বাংলাদেশ বিরোধী লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি করে দেশের আপামর জনসাধারণের বোধ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় সব্যসাচী প্রকাশনী। বিষয়টি নিয়ে জনসাধারণে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হলে কয়েকজন স্টলে যান প্রকাশকের সাথে কথা বলতে। তখন ‘মৌলবাদ নিপাত যাক’ এবং ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হয়। প্রতিবাদকারী কয়েকজনের উপর চড়াও হয় সব্যসাচীর প্রকাশক ভবো শতাব্দী। তখন চরম ধৈর্যের পরিচয় দেয় প্রতিবাদী জনতা। পরবর্তীতে এই ঘটনাকে ‘বইমেলায় হামলা’ আখ্যা দিয়ে অপপ্রচার চালানো হয়। অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এই ঘটনায় তৌহিদী জনতাকে দায়ি করে তাদেরকে ঊনমানুষে পরিণত করার প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন। সরকারের দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে তাঁর এই পোস্ট চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার বহিঃপ্রকাশ। মাহফুজ আলমের পোস্ট জনগণকে হুমকি ও মিথ্যাকে আঁকড়ে থাকায় পূর্ণ। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অনতিবিলম্বে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার, বইমেলায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে দায়ী ও জনপরিসরে মিথ্যা তথ্য প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, বইমেলায় বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরির প্রাথমিক দায় প্রশাসনের। দীর্ঘ দিন বিদেশে বসে ইসলাম বিদ্বেষী ও দেশবিরোধী উস্কানি দেওয়া লেখিকার বই কয়েকদিন বেচাবিক্রি হলেও কোনো ব্যবস্থা প্রশাসন নেয়নি। অনলাইনে অপপ্রচার রোধেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি অন্তবর্তীকালীন সরকার।তারপর একদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও আইনের আওতায় আনতে পারেনি দায়িকে। এইসব ব্যর্থতার দায় ঢাকার জন্য উপদেষ্টা মাহফুজ ‘তৌহিদী জনতা’কে বলির পাঁঠা বানানোর অপচেষ্টা করে গণঅভ্যুত্থানকারী পক্ষের মধ্যে ভাঙন তৈরি করেছে। আমরা এই অপরিণামদর্শী কার্যকালাপ বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।